শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
রাজশাহীতে ভরা পদ্মায় বালির ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড

রাজশাহীতে ভরা পদ্মায় বালির ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড

রাজশাহীতে ভরা পদ্মায় বালির ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড
রাজশাহীতে ভরা পদ্মায় বালির ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড

স্টাফ রিপোর্টার : পদ্মায় উজান থেকে আসা প্রবল ঢেইয়ে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কায় বালির ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে রাজশাহীর জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র টি-গ্রোয়েনে।

গত বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এসব বালির ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে। এছাড়াও বৃহস্পতিবার থেকে জনগণের নিরাপত্তার জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে গ্রোয়েনে প্রবেশের সকল পথ বন্ধ করে দিয়ে পোউবো কর্তৃপক্ষ। এবং সেখানে জিও বালির ব্যাগ ফেলতে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, কর্তৃপক্ষ শুষ্ক মৌসুমে এইসকল কার্যক্রম গ্রহণ করা হলে এই ধরনের তাড়াহুড়ো করতে হতো না। কিন্তু বর্ষায় পানি বাড়ার পর তারা ভাঙনরোধে বালির ব্যাগ ফেলা শুরু করে। এটা একপ্রকারের অর্থহীন কাজ এবং অর্থের অপচয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এ সময় ঠিকাদার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন মিলে অল্প কিছু বালির ব্যাগ ফেলে দেখায় যে প্রচুর ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে এই কার্যক্রম থাকলে বস্তা গুনা বা দেখা যেত। এতে দুর্নীতির সুযোগ থাকতো কম। কিন্তু এখন দূর্নীতি করা সহজ।
তবে স্থানীয়দের এই অভিযোগ অস্বীকার করেন পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগ সত্য নয়। আমরা শুষ্ক মৌসুমেও কাজ করেছি। গত জুন থেকে কংক্রিট ব্লক ও বালির ব্যাগ ফেলা শুরু করেছি। যথাযথ মূল্যায়ন ও জরিপের পর আমরা এখন বালির বস্তা ফেলছি। বর্তমানে নদীতে প্রবল স্রোত থাকার কারণে টি-গ্রোয়েন অরক্ষিত হয়ে পড়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

তিনি বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমে গ্রোয়েনে কমপক্ষে ১৬ হাজার বালির বস্তা ফেলার পরিকল্পনা ছিল। ইতোমধ্যে সেখানে প্রায় ১৪ হাজার ব্যাগ ফেলা হয়েছে। এখানে অন্যায় বা দুর্নীতির করার কোন সুযোগ নেই।

নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, এখানে একটি টাস্কফোর্স আছে। টাস্কফোর্সে স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধিরা থাকেন। তাদের উপস্থিতিতে বালির ব্যাগ গুনে গুনে নদীতে ফেলা হয়। প্রতিটি বালির ব্যাগে ৪৫০ টাকা খরচ হয় বলেও জানান তিনি।

সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, টি-গ্রোয়েনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন সার্ভেয়ার ও কর্মরত শ্রমিকরা ছাড়া বালির ব্যাগ গুনতে অন্য কাউকে দেখা যায়নি। সেখানে মাত্র ২০ জন শ্রমিককে একটি নৌকায় করে বালির ব্যাগ ফেলতে দেখা গেছে। শ্রমিকরা নদীর বাম তীর থেকে জিওটেক্সটাইল ব্যাগে বালু ভর্তি করে নৌকায় বহন করে গ্রোয়েন পয়েন্টে নিয়ে ফেলছে।

জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত হয় টি-গ্রোয়েন। এরপর ৯০ এর দশকের শেষের দিকে এটা মেরামত করা হয়েছিল। পাউবো টি-গ্রোয়েন সংস্কারের প্রস্তাব দিলেও প্রকল্পটি এখনও অনুমোদিত হয়নি।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply